মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে কলহের জের ধরে ফজল মুসল্লির বিদেশ ফেরত মেয়ে মুক্তা ( ৪০)কে হত্যার উদ্দ্যেশে গলার রশি বেঁধে, ধারালো অস্ত্র ও ষ্টিলের স্ক্যাল দিয়ে বেধড়ক মারধর ও জখম করেছে। ক্তার উপর আক্রমণ ও হামলা চালায় তার ভাই মাসুদ, সুজন,ও মাসুদের স্ত্রী রেখা। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন- রোগিটি প্রচুর মানসিক ও শারীরিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত।তার জীবন এখন ঝুকিঁমুক্ত নয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা ঝাউগড়া ইউনিয়নের পইর বাড়ি গ্রামে।নির্যাতিত মুক্তা নির্যাতনের করুন ঘটনা বণর্না করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে অভিযোগ করে মুুক্তা বলেন- আমি দীর্ঘ দিন বিদেশে গৃহকর্মীর কাজ করে রোজগার করা টাকাগুলো ভাইয়ের আত্মসাৎ করে। আমার টাকা দিয়ে কেনা জমিতে তোলা ঘরে আমাকে ও আমার একমাত্র কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কে নিয়ে বসবাস করতে দিচ্ছেনা।

বিভিন্ন সময় সামান্য ইস্যু নিয়ে আমার উপর টর্চার, মারধর, গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ চৌধুরীর স্মরনাপন্ন হলে তিনি মিমাংসা করিয়ে দিলে কয়কদিন না যেতেই আবার পুর্বে ন্যায় কার্যকলাপ শুরু করলে আবারও ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী কে জানালে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বললে আমি বাড়ী আসার পরেই তারা আমার উপর ঝাপিয় পড়ে আমায় হত্যার উদ্দ্যেশে গলায় রশি দিয়ে বেধে টানা টানি করে এবং বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ও জখম করে। আমরা ডাক চিৎকারে লোকজন এসে উদ্ধার করে মেলান্দহ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আমার চিকিৎসা করতে মামলা করতে দেরি হয়েছে এবং এখন মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। উল্লেখ্য যে, এলাকাবাসী ও মুক্তা আরোও বলেন- তার ভাইয়েরা এর আগে বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তার চাচা কামালের কাছ থেকে সাদা ষ্ট্যামে স্বাক্ষর নেয়। এই কামাল অদ্যবধি পর্যন্ত লজ্জা ও ভয়ের দেশ ছাড়া হয়ে জাজাবরের ন্যায় ঘুরে বেডাচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও সচেতনমহল সুষ্ট, সঠিক বিচার কামনা করছে। বিষয়টি এখন টপ অব দ্যা ঝাউগড়া পরিনত হয়ছে।